বিরিঞ্চি বাবা

//satyajitray.ucsc.edu/films/kapurush.htmlদ্য উইক পত্রিকায় অ্যালাইভ অনলাইন লেখাটা পড়ে রীতিমতো চমকে গেলাম। খারাপও লাগলো। অর্কুট, ফেসবুক থেকে শুরু করে বিগআড্ডা অবধি বর্তমানে অজস্র স্যোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট রয়েছে।

এই স্যোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছবি, টেক্সট, ভিডিও, অডিওর সাহায্যে মানুষ মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান প্রদান করে, প্রাণের কথা বার্তা বলে। ঠিক আছে। ভাল ব্যাপার।

স্যোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যা হয় সেটা টেলিফোন অথবা পোস্টের সাহায্য নিয়ে নীতিগত ভাবে সম্ভব। এক কালে সেটাও হতো। পত্রমিতালী অথবা পত্রবন্ধু সম্বন্ধে সঙ্গে হয়তো অনেকের ধারণা আছে।

চিন্তার বিষয়! বাস্তব জগতে যেমন প্রতারক হয়, তেমনি এই স্যোসাল নেটওয়ার্কিং জগতে প্রতারক হয়। দুঃখের বিষয় এদের ধরা বাস্তব জগতের চেয়ে অনেক শক্ত। এবং এরা আমাদের সমাজে বেশ ক্ষতি করছে। এদের মধ্যে অনেকেই আমাদের মধ্য ভদ্র সভ্য জীবন যাপন করেন। নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা আর ভুল তথ্য দিয়ে ভূয়ো সেজে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এক নয়। যেমন আমি আমার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করি নি। কিন্তু যেটুকু তথ্য দিয়েছি, সেটা ভুল নয়।

কোন এক নিলেশ সাহ (আসল নাম নয়) যিনি বাস্তবে একজন অতি সাধারণ ইঞ্জিনারিং ছাত্র, তিনি ইন্টারনেটে লণ্ডনে বসবাসকারী এক ফিটনেস ট্রেনার। এমনিতে উনি সাইকেলও ঠিক করে চালান না।

এইরকম হরি পিল্লাই (অবশ্যই নকল নাম) নামে এক জনতা ওয়েবে রাজস্থানী ফিনানসিয়াল কনসালটেন্ট অথবা ভালবাসার গুরু (লাভ গুরু)। বাস্তবে উনি সম্পূর্ণ অন্য মানুষ। ওনার স্ত্রীও নাকি জানেন না, উনি ভার্চুয়াল জগতে কি জিনিস!

এই রকম আরো অনেক তথ্য অ্যালাইভ অনলাইন লেখাটায় আছে।

বিরিঞ্চি বাবা মুর্দাবাদ!