গতকাল থেকে ভেবে যাচ্ছি। কিছুতেই মনে করতে পারছি না, শেষ কবে ইনল্যাণ্ড লেটার অথবা পোস্টকার্ড ব্যবহার করেছি। কাকে লিখেছিলাম? আজ প্রায় দশ বছরের একটু বেশী হয়ে গেল আমি চিঠি লিখছি না। এবং নিজেও ব্যক্তিগত চিঠি পাচ্ছি না। প্রথমে হটমেল, তারপর ইহাহু আর এখন জিমেলের কৃপায় হাতে লেখা চিঠিকে বিদায় জানিয়েছি। আর আজকাল ই-মেল লেখাও কমে গেছে। মোবাইল ফোনের এস.এম.এস দিয়ে কাজ চলে যাচ্ছে। এছাড়া আছে অর্কুট, ফেসবুক, মাইস্পেস ইত্যাদি সামাজিক ওয়েবসাইট। আর আছে এই ওয়ার্ডপ্রেসের মত ব্লগ অথবা অনলাইন জার্নাল সাইট।
আমার একটা ডাকবাক্স আছে। তাতে ব্যাঙ্ক, টেলিফোন কম্পানী থেকে অনেক চিঠি আসে। ডাকঘর উঠে যায় নি। কিন্তু, যে কোন শহরের স্কুল অথবা কলেজ ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে কাছাকাছি কোন ডাকঘরের অবস্থান জানবার চেষ্টা করুন। অনেকেই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে।
আর ডাকঘরের সঙ্গে আমাদের চিরন্তন রোমান্টিক সম্পর্কের দিন বোধহয় শেষ। রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টার থেকে কিশোরকুমারের ডাকিয়া ডাক লায়া অথবা সেদিনের চিঠি আয়ি হ্যায় পর্যন্ত নানা আঙ্গিকে গানে, গল্পে, কবিতায় এবং সিনেমায় ডাকঘর এসেছে। পত্র-সাহিত্য হয়। ই-মেলকে সাহিত্য হিসাবে ভাবা শক্ত। তবে বিবর্তন চিরন্তন। ভবিষ্যতে আমরা ভাবতেই পারি!
এর পরেও ভারতীয় ডাকঘর হাল ছেড়ে দেয় নি। আজও ভারতীয় ডাকঘর বছরে প্রায় তিনশো কোটি চিঠি বিলি করে। এখনো ভারতে ১৫৪১৪৯ ডাকঘর এবং ৫৬৪৭০১ ডাকবাক্স আছে। চাইলেই, চিঠি লেখা যায়।
আজকাল পোস্টকার্ডের দাম কত? আমি জানি না। আপনি জানেন কি?